পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের ৫২ নং ক্রোকমহল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল হাসেম মোহাম্মদ আবু সালেহ ওরফে বাদশা মৃধা। সরকারি চাকুরির নামে প্রতারণা করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের খুব কাছে তার বাড়ী, বাদশা মৃধার বক্তব্য অনুযায়ী তিনি ২৬/১০/১৯৭৪ সনে অত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করে পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে থেকে গত ২০১৪ সনে ঐ বিদ্যালয় থেকে অবসরে যায়।
চাকুরী চলাকালীন ১৯৯৭ সনে বাদশা মৃধার বাবার নাম ও নিজের নামে অসঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় জনৈক আবুল হাসেম নামে এক ব্যাক্তি আবুল হাসেম মোঃ সালেগ ওরফে বাদশা মৃধার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি বিভিন্ন কারনে তেমন আলোরমুখ দেখেনি, অভিযোগ ও সরেজমিনে বাদশা মৃধার ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাগেছে যে,এলাকায় তার নাম মোঃ বাদশা মৃধা পিং মৌজে আলী মৃধা,কিন্তু তার ফাজিল পাশের সার্টিফিকেটে দেখা যায়,
তার নাম আবুল হাসেম মোঃ সালেহ পিতা মৌলভী মতিউর রহমান পাশের সন ১৯৭২, কিন্তু বাদশা মিয়া স্বীকার করেন তার ফাজিল পাশের সন ১৯৭১। তার কাগজ পত্রে দেখা যায় তিনি ১৯৬৬ সনে দাখিল পাশ রোল নং ৩৩৮১,১৯৬৯ সনে আলিম পশ রোল নং ৩৪৩৯ এবং ১৯৭২ সনে ফাজিল পাশ রোল নং ২৬১ কিন্তু, অন্য একটি কাগজে দেখা যায় যে তিনি ১৯৭২ সনে ৮৭২ নং রোলে মধ্যে ধরান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পরীক্ষা দেন এবং ঐ পরীক্ষায় তিনি ২য় স্থান লাভ করেন।
তার নিজের এবং বাবার নামের মিল নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে আমার ভালো নাম আবুল হাসেম মোঃ সালেহ আর ডাক নাম মোঃ বাদশা মৃধা, বাবার নাম মৌজে আলী মৃধা। বাবার নাম মৌলুভী মতিউর রহমান কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আসলে ওটা বাবার নামের জায়গাতে ভূল হয়েছিল ওটা পরে কারেকশন করে নিয়েছি,কিন্তু আপনার চাকরি শুরু ১৯৭৪ এবং ১৯৯৭ সনে এসে এক ব্যাক্তির অভিযোগের পরে আপনি সমাধান করলেন এর আগে আপনি ভিন্ন বাবার নাম কেন ব্যবহার করলেন,
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আসলে তখন বোর্ডে গিয়ে সমাধান করারমত তেমন কোন বিষয় হয়নি তাই জাওয়া হয়নি। বর্তমানে আপনার আইডি কার্ডে যার নং ৬৪০০৬৯৫৮৩৬ নাম আবুল হাসেম মোহাম্মদ সালেহ কিন্তু আপনার এস এস সি পরীক্ষার স্কুল সার্টিফিকেটে নাম বাদশা মৃধা কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আসলে ওটা আমার ডাক নাম তাই তারা বিসিয়েছে, এদিকে ২০১৪-১৫ সনের ৫৮৮ (l) পিকে নং নামজারী কেসের ইং২৪/১২/২০১৪ তারিখ নিজের নামে জমির রেকর্ড করান তাতে তার নাম বাদশা মৃধা দেখা যায়।
এ বিষয় একাধিক এলাকাবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন মূলত বাদশা মৃধা অন্য কারো কাগজ জমাদিয়ে চাকুরির নামে প্রতারণা করে সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয় ততকালীন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে,আমি তখন ক্লাস্টার ছিলাম ঠিকই কিন্তু এতকিছু আমার জানা নেই, এ বিষয় জপলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইদুজ্জামান বলেন যেহেতু এখনো তিনি সরকারি টাকা নিচ্ছে অভিযোগ পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে তদান্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।